হেলমেট না মাথায় চাপালে ট্রাফিক পুলিশে ধরবে। যত কাগজপত্রই দেখান না কেন, আর্থিক জরিমানা দিতেই হবে। শুধু অকারণে টাকা খসার ভয়ে কেউ হেলমেট পরে?
সবাই জানেন, মোটেই তা নয়। হেলমেট বাইক আরোহীর নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু জানলে কী হবে মানছেন ক’জনা! সে কারণেই তো এত আইনি কড়াকড়ি। নতুন বাইক কেনার সময় প্রায়শই একটা নতুন হেলমেট উপহার হিসাবে দিয়ে থাকেন বিক্রেতা। আবার নাও দিতে পারেন। তবে হাল আমলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে হেলমেট বিলির ছবি প্রায়শই দেখা যায়।
সচেতনতা বাড়াতে এ রকম কর্মসূচি সত্যিই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু বিনা মূল্যে প্রাপ্ত হেলমেটের জন্মবেত্তান্ত অনেক সময়ই অধরা থাকে। মানে সেগুলোতে নাম বা সরকারি দফতর দ্বারা নির্ণায়ক মানগত কোনো চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায় না। বিনে পয়সার জিনিসে অত কিছু!
যা দেখে হেলমেট কিনবেন:
প্রথমত, এর ওজন। মাথা্ ঢাকা হেলমেটের স্বাভাবিক ওজন হয়ে থাকে ১২০০ থেকে ১৬০০ গ্রাম। এর উপরে খুব বেশি হতে পারে ১৮০০ গ্রাম। কিন্তু নিজের ঘাড়ের ওজন বহনের ক্ষমতা অনুযায়ী এই ওজন নির্দিষ্ট করাই ভালো।
দ্বিতীয়ত, এর উচ্চতা। হেলমেটের উচ্চতা কখনোই সাড়ে ২৯ ইঞ্চির বেশি হওয়া কাঙ্ক্ষিত নয়।কারণ মাথার সঙ্গে হেলমেটের উপরের তলের ব্যবধান এর মধ্যে বেঁধে রাখা ভালো।
তৃতীয়ত, এই হেলমেটের গঠন শৈলি। যা খোলা চেখেই দেখে নেওয়া যেতে পারে। এই হেলমেট মাথায় নিয়ে কতটা আরামদায়ক মনে হচ্ছে সেই বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। এনেক সময় দেখা যায়, হেলমেটের চাদর পুরু নয় কিন্তু ভিতরের তুলতুলে অংশ বেশ প্রকট। এড়িয়ে চলুন, শুধু আরাম নেওয়ার জন্য হেলমেট ব্যবহৃত হয় না। হেলমেটের উপর সম্ভব হলে কয়েন ফেলুন। দেখুন সেটা কতটা লাফাচ্ছে। অর্থাৎ এই হেলমেটের নমনীয়তা আছে কিনা, সেটা দেখা যেতে পারে। এ বার দেখে নেওয়া যেতে পারে বাজারে বিক্রি হওয়া কিছু জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের হেলমেট। এদের দামও থুব একটা আহামরি নয়। কিন্তু সুরক্ষা এবং সাচ্ছ্যন্দতা সমান ভাবেই বজায় রয়েছে এই হেলমেটগুলিতে।