গতকালকে জীবনে প্রথম শর্ট একটা ট্যুর দিলাম। তাও আবার ঢাকা থেকে গাজীপুর মাত্র ৪০ কিলো, কিন্তু আমার কাছে মনে হলে ৪০০ কিলো।
যাই হোক অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ২৭ তারিখের ডে লং ট্যুরের জন্য আর সবুজ ভাইকে অনেক প্যারা দিচ্ছিলাম কি কি কিনব বা কিভাবে কি কি করব এই জন্য। ট্যুরের সবকিছু কেনা-কাটার পর শেষ বাকী ছিল বুট জুতার, কিন্তু মনের মত কোন বুট পাচ্ছিলাম না। সবুজ ভাইকে আবার জ্বালানো শুরু করলাম বুটের জন্য, শেষমেশ সবুজ ভাই সন্ধান দিলেন গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ আর্মির বাংলাদেশ মেশিনারি টুলস ফ্যাক্টরির আর সেটা নিয়েই বেশ কিছুদিন যাবৎ আমি আর অর্নব প্ল্যান করছি গাজীপুর যাওয়ার জন্য। সোমবার ফিক্সড হল আমরা বুধবার গাজীপুর যাব এবং আমাদের সাথে এই শর্ট ট্যুরে যুক্ত হলেন মিথুন ভাই, অভি ও রাঙামাটির শ্রাবণ ভাই। যাত্রা পথে আমাদের সাথে যুক্ত হলেন Moin Joy ভাই। গাজীপুর গিয়েই প্রথমে আমি, অভি আর অর্নব বুটটা নিয়ে নিলাম, তাও আবার এটা যেন-তেন বুট না এর নাম “জংগল বুট”। মাত্র ১৮০০ টাকায় এত সুন্দর ও টেকসই বুট জুতা পাব তা আমরা ঢাকার মানুষ কল্পনাও করতে পারি না। ২/৩ দিন আগে প্রি-অর্ডার দিতে হয় সাইজ সহ। তারপর বুট কিনে চলে গেলাম হানকাটা ব্রিজে সেখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আমাদের প্রিয় কবি আরিফ ভাই, এল্ডারস মনির ভাই ও পারভেজ ভাই। হানকাটা ব্রিজের রাস্তাটা দেখে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের কথা মনে পড়ে গেল। আমাদেরকে আপ্যায়ন করা হয় বাদল মিয়ার স্পেশাল ছোলা-ডিমের ঝালমুড়ি আর এক অসাধারণ চা দিয়ে। যার নাম মটু-পাতলু হাউজ ফুল চা। এই চা খেয়ে তো আমার আর মিথুন ভাইয়ের পুরাই মাথা নষ্ট। যাক আবার যাব শুধুমাত্র এই হানকাটা রোডে বাইক রাইড করার জন্য আর ঝালমুড়ি খাওয়ার জন্য আর মটু-পাতলু হাউজ ফুল চা(বেষ্ট টি ইন সিটি)এক ড্রাম খাবো।।। ?
?
?
যদিও খুব অল্প সময় ছিলাম গাজীপুরে তারপরও অনেক ভাল একটা সময় কাটিয়েছি প্রিয় ভাইদের সাথে।।।
অনেক অনেক ধন্যবাদ Mrk Sabuz ভাইকে আমাদেরকে তার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য এবং জোস একটা বুট জুতা কিনতে সাহায্য করার জন্য।
ধন্যবাদ আরো জানাই Md Imran Khan মিথুন ভাইকে আমাদের এই শর্ট ট্যুরে গাইড করার জন্য, মিথুন ভাই আপনি না থাকলে হয়তোবা আমার যাওয়া হত না তাই আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।।। ?
?
?
Arnob Hardy ও Rakib Mahmud Ovee ধন্যবাদ তোমাদের রাস্তায় আমাকে অনেক সাপোর্ট দেয়ার জন্য এবং Chakma Srabon ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ এত দূর থেকে এসেই আমাদের কোম্পানি দেয়ার জন্য।।। ?
?
?
★★★”বাইকারস আর ব্রাদারস”★★★
যেহেতু আমার এটা ঢাকার বাইরে ফার্স্ট রাইড তাই আমি ভেবেছিলাম ঢাকা শহরের মধ্যে দিয়েই পাশের শহরে যাব পাশাপাশিই তো তাই আর কোন সেফটি গার্ড ব্যবহার করিনি একমাত্র ফুলফেস হেলমেট ছাড়া, এমনকি হ্যান্ড গ্ল্যাভসও ব্যবহার করিনি।
তাই কেউ আমার মত ভুল করবেন না, রাইডিং আপনি যতটুকুই করেন না কেন সবসময় হেলমেটের পাশাপাশি সেফটি গার্ড অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
★★★হেলমেট ব্যবহার করুন এবং সাবধানে বাইক রাইড করবেন★★★
লেখক: Taazmul Haq Kisslu